Tuesday, October 21, 2014

“মা”

-    বজলুর রশীদ চৌধূরী
মায়ের কথা মনে হলে চোখে আসে জল,
মা-ই আমার পরম শান্তি, মা-ই গায়ের বল।
মা আমার মাথার মনি, মাকে ভালবাসি,
সকল দুঃখ দুরে যায়-দেখলে মায়ের হাসি।
মায়ের কোলে মহাশান্তি, সাধু-শাস্ত্র কয়,
মা বিহনে ত্রিভূবনে আপন কেহ নয়।
কত কষ্টে থাকে মা সন্তান পেটে ধরে,
হাজার চিন্তার ‘চিন্তী’ সে সন্তানের তরে।
মায়ের গর্ভে থাকে সন্তান মায়ের রক্ত খেয়ে,
সকল দুঃখ ভূলে মা সন্তান কোলে পেয়ে।
দশ মাস দশ দিন মায়ের গর্ভে রয়,
অশ্র“ দিয়ে দিন গণে মা কি জানি কি হয়।
উঠতে বসতে পারেনা মা গায়ে নাহি বল,
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে তবু,-হাসে খল খল।
মাথা ঘুরে পড়ে  মা গায়ে ভীষন জ্বর,
সন্তান তবু বুকে রাখে, করেনা গো পর।
পঁচা ঘায়ে গন্ধ ভাসে-সবাই করে ঘীন,
মা যে তার কত আপন বাসেনা গো ভীন।
প্রসবকালে মা জননীর কত কষ্ট হয়,
মা-ই জানে মায়ের বেদন অন্য কেহ নয়।
দুঃখ কষ্ট যত পায়, -সব যায় চলে,
সন্তান যদি দেখে মা হাসছে তাঁর কোলে।
না খেয়ে মা নেতিয়ে গেছে, শুকিয়ে আছে মুখ,
তবু, মা পায়না ব্যথা ভাবে শিশুর সুখ।
অনাহারে পড়ে আছে সন্তান কোলে ধরে,
সকল সুখ বিলিয়ে দেয় সন্তানের তরে।
আহার বিহার ছাড়ে মা একটু কিছু হলে,
যত স্বপন আছে মায়ের ভাসে নয়ন জলে।
মল মূত্র ধুঁয়ে মায়ের পঁচে দুই হাত,
অহোরাত্র কাটায় মা সন্তানের সাথ।
অলি-আউলিয়া-মনি ঋষি- নবী পয়গম্বর,
মায়ের নামে সবাই তাঁরা জগতে অমর।
এই নামেতে মহা প্রেম, এই ডাকেতে মধু,
এই নামেতে মহাতুষ্ট শহর-পল্লীর বধু।
মায়ের বচন অমীয় বাণী ধর্ম শাস্ত্র কয়,
মায়ের কোলে শিশুর হাসি সূর্য তুচ্ছ হয়।
কানা-বোবা নুলা ন্যাংড়া হউক অঙ্গহীন,
মহামায়ায় কোলে নেয় মা- করেনা গো ঘীন।
মায়ের কোলে মহাশান্তি, বেহেস্ত পায়ের নীচে,
এই কথাটির মহা অর্থ ধর্মশাস্ত্রে আছে।
মায়ের কথা স্মরণ করে ডাকি দয়াময়,
আমার মায়ের তরে যেন বেহেস্ত নসীব হয়।
লেখক: মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।

No comments:

Post a Comment

bazlurusa@gmail.com