Tuesday, September 9, 2014

‘মহা সত্য’

বজলুর রশীদ চৌধূরী


দেহ ভরা শক্তি আছে-আছে রূপের ঢল্,
মন বিহারে কি পেয়েছিস্-বলরে অবুঝ বল্?
পাহাড়-পর্বত কঠিন পাথর, কঠিন উচুঁ চূড়া,
শেওলা দোলায় কেন দোলে, বলবি ওরে বুড়া?
সাগর বুকে অথৈ জল-খেলছে মহা খেলা,
বায়ূ ভরে যায় উপরে-ভাসে মেঘের ভেলা!
সকাল-সন্ধ্যায় জন্ম মৃত্যু-রাত্রি কিম্বা দিন,
ধ্যানের চোখে দেখরে চেয়ে-ফের জনমের চিন!
দু’টি সাগর মিশে আছে দু’টি স্বাদের জলে,
একে অন্যে নাহি ডিংগায়-কোন্ কারনের ফলে,
মাটির উপর কত আহার-দেখরে চেয়ে দেখ,
অস্বীকার তুই কি করিবি,-ধরে নানান ভেখ?
মহাকাশে কত দীপ,-জ্বলছে অবিরত,
বল বাপু, কে জ্বালাল,-সংখ্যা ওদের কত?
রবির কোলে ভূবন দোলে, ভূবন কোলে চাঁদ,
বলতে পারিস্ ওরে খোকা-কোথায় কত বাঁধ?
আলোবিহীন কত জগৎ-অন্ধকারে ডোবা,
নিজের আলোয় ভাসি কত দেখায় আপন শোভা।
অগ্নিভরা বহু ভূবন-নিত্য গ্যাসের ধাওয়া,
মহাতাপে পুড়ছে পাথর-বইছে মহা হাওয়া।
মহাশূন্যের পরিমাপে জ্ঞান বিজ্ঞান লাচার,
দুঃখভরা কণ্ঠে বলে-হায়রে নিরাকার?
সপ্তাকাশের কত লীলা, বুঝবি কেমন করে,
কিসের নেশায় হইলি বেহুঁশ-জ্যান্ত গেলি মরে?
মৃত্যু ভয়ে সদা কাতর বিশ্বভূবন সবে,
বুঝলিনারে অবুঝ মন-বুঝবি তুই আর কবে?
মহাশব্দে ফাটবে আকাশ-সবই পড়বে ঝরে,
তুলার মত উড়বে ভূমি-কাঁপবে সবাই ডরে।
ধনসম্পদের পাহাড় গড়ে বাধাস্ যত লেঠা,
কতদিন তুই থাকবি হেথায়-বলতে পারিস বেটা?
জনমকালে কেমন ছিলে-এখন আছিস কেমন,
যেতে কি আর পারবি সেথায়, যেমন ছিলি তেমন?
ছিলি কোথা,যাবি কই-থাকবি কতদিন,
কিসের তরে এলি হেথায়, শোধ করবি না ঋণ?
মনের আশা সুখের বাসা ফেলে যেথায় যাবি,
কড়ায় গন্ডায় হিসেব তখন-সেদিন সেথায় পাবি।
লা-শরীকের জিকির করে যারে বধির যা,
ঐ দেখা যায় নূরের কিরণ জলদি বাড়া পা।


লেখক-মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র-

No comments:

Post a Comment

bazlurusa@gmail.com