Thursday, December 3, 2015

বিজয়ের মাস

বজলুর রশীদ চৌধূরী
বিজয় মাসে বারবার আসে সেই শহীদান,
দেশের তরে অকাতরে যারা দিল প্রাণ।
ওরা তাজ ওরা সাজ ওরা দেশের গর্ব,
ওরা কর্ম ওরা মর্ম ওরা সবের সর্ব।
ওরা চেতন ওরা বেদন ওরা গোটা জাতি,
ওরা দেশ ওরা কেশ ওরা দেশের বাতি।
ওরা সুখ ওরা দুখ ওরা মোদের আশা,
ওরা ধ্যান ওরা  জ্ঞান ওরা ভালবাসা।
মুখের ভাষা মায়ের আশা রাখল কত শহীদ,
ওদের কথা ওদের ব্যথা জাগায় মুক্তির তাগিদ।
একাত্তরে সর্বস্তরে অস্ত্র তুলে হাতে,
নয় মাস ধরে যুদ্ধ করে পাকিস্তানের সাথে।
বীর বাঙালী নয় কাঙালী বীরের বংশ ওরা,
ষোল ডিসেম্বর সাল একাত্তর বিজয় পেল যারা।
খুশীর সানাই বাজায় কানাই আহা ভাল বেশ,
নতুন করে ধরার পরে স্বাধীন বাংলাদেশ।
স্বাধীন দেশ স্বাধীন বেশ স্বাধীন কথা বলি,
বিজয় নিশাণ মোদের বিধান বুক ফুলিয়ে চলি।
স্বর্ণাক্ষরে বাংলার ঘরে সাল একাত্তর,
অধীনের দিন হল বিলীন নাহি ভয়-ডর,
যুগে যুগে বাংলার বুকে আসে মীরজাফর
দেশের সন্তান হও সাবধান বাঁচাও আপন ঘর।

Tuesday, September 22, 2015

ঈদ মোবারক

- বজলুর রশীদ চৌধূরী
রোজার পরে আসে মোদের, মহান ঈদের দিন,
খুশীর জোয়ারে ভাসি সবাই, খুশী দুনিয়ার মোমিন।
গোসল করে জামা পরে তৈরী হয়ে যাই,
ঈদের নামাজ পড়তে হবে, দূরের ঈদগায় তাই।
নূতন নূতন জামা পরে ছুটছে মুসলমান,
কণ্ঠে তাদের তৌহীদ বানী, গাইছে মৌলার গান।
দলে দলে ঢুকছে মোমিন, কানায় কানায় মাঠ,
লা-শরীকের জিকির করছে, পাক্ ক্বোরআনের পাঠ।
ছেলে বুড়ো সবাই মিলে, নূতন জামা পরে,
মহামিলন ঘটে মোদের, ঈদের নামাজ পড়ে।
মিসকিন ফকির বাদশাহ্ আমীর, এক মাঠেতে আসে,
কুল গরিমা নাইকো সেথায়, সবাই সবার পাশে।
খুত্বা শুনে নামাজ পড়ে, ডাকি মালিক শাঈ,
তোমার বান্দা, তোমার কাছে, মাফি পাইতে চাই।
দোয়ার শেষে দাঁড়িয়ে সবাই, করি গলাগলি,
বেঁচে থাক সুখে রহ, ঈদ মোবারক বলি।
দলে দলে কবর জিয়ারত, পাক এলাহির শান,
পূর্বসূরী যত আছেন, মোমিন মুসলমান।
মহানন্দে বাড়ী ফিরে, এ ঘর সে ঘর যাই,
গুরুজনকে সালাম করে, পাড়ায় পাড়ায় বেড়াই।
মায়ার টানে যাচ্ছে সবাই, একে অন্যের বাড়ী,
ছেলে বুড়ো পাঞ্জাবীতে, নারীর নূতন শাড়ী।
সন্দেশ মিঠাই রসমালাই, সকল ঘরে ঘরে,
মহামায়ায় বিলিয়ে দেই, ইষ্ঠি-গোষ্ঠীর তরে।
আত্মীয় আসে আত্মীয় যায়, দিনের বেলা শেষ,
ঈদের আমেজ কাটেনা মোর, ভাল লাগে বেশ।
লেখক : মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।

Tuesday, July 14, 2015

‘ধর্ম’

বজলুর রশীদ চৌধূরী
মরবো তবু ডরবো নাকো কইবো সত্য কথা,
ধর্ম নহে মানব গড়া-নহে দেশের প্রথা।
ধর্ম নহে মনের বিচার-নহে ব্যক্তির শান,
ধর্মে নহে রদবদল-নহে রাজার দান।
ধর্ম জানায় একত্ববাদ-ধর্ম মাওলার কালাম,
ধর্মের ভিতর বিরাজ করছে পাক্ এলাহির নাম।
ধর্মে নহে ঝগড়া-বিবাদ-নাহি হিংস্বাদ্বেষ,
ধর্ম বিলায় মহা শান্তি-সব অন্যায়ের শেষ।
ধর্ম নহে দলাদলি-নাহি নির্যাতন,
ধর্মে নহে খুন খারাবী-নাহি আত্মহনন।
ধর্মে নহে জোর-জুলুম-নাহি বাড়াবাড়ি,
ধর্মে নহে লোভ-লালসা-নাহি কাড়াকাড়ি।
ধর্ম কোলে মোমিন মগ্ন-কণ্ঠভরা জিকির,
ধর্মে আছে জীবন চলা-আছে মাওলার ফিকির।
ধর্ম কোলে ধরার মানুষ করছে অবস্থান,
ধর্ম নাহি বলে কভু-লুঠতে ধর্মের মান।
অত্যাচার অনাচার আর কুসংস্কারের সাথে,
জ্যান্ত মেয়ের কবর হয় পাষান পিতার হাতে।
অন্ধকারে ছেয়ে যায় সারা আরব জাহান,
আল্লাহ্ পাক্ নিজ হতে শেষ নবীকে পাঠান।
জিবরিল মারফত নবীর কাছে আসে তাঁহার বানী,
যে বানীতে ধ্বংস হয়-সকল নাফরমানী।
বিশ্ব নবী মোহাম্মদ-শেষ পয়গম্বর,
আর আসবে না কোন নবী-ইহাই সত্য খবর।
বিশ্ব নবীর অমীয় বচন শান্তি সুধা ঝরে,
পাক্ এলাহির মধুর কালাম-হৃদয় মন ভরে।

লেখক-মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র।


‘মাহে রমজান’

- বজলুর রশীদ চৌধূরী
বছর পূরে ঘুরে এল, পবিত্র মাস রমজান,
আগমনী বার্তা জানায় রজব আর শাবান।
তিন ভাগে এই মাস, হাদিস যায় বলে,
প্রথম ভাগ কত বরকত, রহমত সাথে চলে।
মাগ্ফেরাতে দ্বিতীয় ভাগ, রাখ নিয়ত করে,
মাওলার দিদার পাবে তখন, বিপদ যাবে সরে।
শেষ ভাগে নাজাত আছে, আল্লাহ্ পাক্ কয়,
মোনাজাতে মাফি পাবে, জানিবে নিশ্চয়।
এই মাসেতে সিয়াম সাধন, এই মাসেতে রহম,
এই মাসেতে রোগ-শোক, সবই হবে খতম।
এই মাসেতে মশকিল আহ্সান, এই মাসেতে দান,
এই মাসেতে যাকাত-ফিৎরা, আসমানী ফরমান।
এই মাসেতে শয়তান বন্দী, খোদা তালার আদেশ,
এই মাসেতে ভূত-প্রেত, হবে নিরুদ্দেশ।
এই মাসেতে মসজিদ নিবাস, আছে দশ দিন,
এই মাসেতে পূণ্য আনে, দ্বীন পূজারী মোমিন।
এই মাসেতে কোরআন নাজিল, রাত শবে ক্বদর,
এই মাসেতে খোলা থাকে মহান আল্লাহর সদর।

লেখক : মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।

Saturday, March 14, 2015

'জেনারেল ওসমানী'

বজলুর রশীদ চৌধূরী
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি-হে বঙ্গবীর,
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক-মুক্তি বাহিনীর পীর।
ক্ষণজন্মা পুরুষ তুমি-সমর বিশ্বে দাম,
যেমন তোমার বংশ সনদ-অসমানী নাম।
সময় পোষাক পরে তুমি কাটাও সারা জীবন,
চাওয়া পাওয়া নাইকো কেবল-সেবাই তোমার পন।
জীবন বাজি রেখে তুমি যুদ্ধে দিলে মন,
জনম জনম বাংলার মানুষ করবে তোমায় স্মরণ।
শত বাধা ডিংগিয়ে তুমি বাড়াও জাতির মান,
ই.পি.আর এর বিশালতা-তোমার হাতের দান।
অবসরে গেলেও তোমার শেষ হয়নি কাজ,
দেশের তরে নির্বাচনে পরলে বিজয় তাজ।
লেখাপড়া নিয়ম কানুনে তোমার জুড়ী নাই,
দেশকে স্বাধীন করে পেলে ইতিহাসে ঠাঁই।
সত্যের ধারক সত্যের বাহক সত্য তোমার পুঁজি,
বিশ্ব সম্মান পেলে তুমি সত্যের ভিতর খুঁজি।
একাত্তরে বাংলার বুকে নামে অন্ধকার,
নির্বিচারে মানুষ মারে পাক্‌ হানাদার।
বঙ্গবন্ধুর প্রিয়ভাজন মেজর জিয়ার গুরু,
সর্বাধিনায়কের পদে বসে যুদ্ধ করলে শুরু।
নয় মাস ধরে যুদ্ধ করে বিজয় নিলে হাতে,
হানাদাররা চলে গেল ইতিহাসের পাতে।
স্বাধীন থেকো স্বাধীনতা-চিরকাল ধরি,
সাথে সাথে আতাউল গনি ওসমানীকে স্মরি।

লেখক-মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র।

Saturday, March 7, 2015

'জলকন্যা জগন্নাথপুর'

- বজলুর রশীদ চৌধূরী
ঘুমিয়ে আছ জল কন্যা জগন্নাথপুর থানা,
রাজ্য পাটে নাম তোমার সবার আছে জানা।
রূপ সাগরের রানী তুমি রূপের অহংকার,
তোমার কোলে কত রত্ন তোমার অলংকার।
জল বিহার কর তুমি-জলে জলে ভাসি,
কানে কানে প্রেমের কথা কও হাসি হাসি।
এলো কেশে বর্ষায় ভেসে টেউয়ের তালে তালে,
সারা অংগ দুলিয়ে বেড়াও-গাঁয়ের খালে নালে।
হাওর নদী দিঘী নালা পেরিয়ে অনেক দুর,
চোখে নাহি মিলে ঠাঁই-রাজ্য জগন্নাথপুর।
ইতিহাসের পাতাধরে কত ভ্রমনকারী,
রূপ সাগরে গা ভাসাতে আসে তোমার বাড়ী।
জলে হাস জলে ভাস ওগো জলের পরী,
ভরা বর্ষায় কত রূপ অংগে রাখ ধরি।
হলুদ বরন গা ভাসে কৃষ্ণ বরণ জলে,
থরে থরে প্রেমের মালা পর তোমার গলে।
হিজল বরুণ কেয়া কেতকী সাজায় জলের আসর,
কদম ফুলের মালায় সাজে তোমার বিয়ের বাসর।
জলে ভাষা আষাঢ় মাস-খেলায় মাতে জল,
নীল হাওরের গহীন বুকে নামে রূপের ঢল।
বাদল ঘেরা ঘুট বরিষায় রংধনু ভাসে,
গুড়ী গুড়ী বৃষ্টির ফাঁকে জল কুমারী হাসে,
রং বেরংগের কত নাও সারিগান ধরে,
মিলন মেলায় মেতে উঠে তোমার বুকের পরে।
কত কবি কত বাউল তোমার গান গায়,
কত রাজার বিরহ ব্যথা চোখের জল ঝরায়।
তোমার তরে কত রাজা জীবন দিল ঢালি,
কত রাজা স্বদল বলে রাজ্য গেল চালি।
চঙ্গ টিলায় সাজে কনে জামাই কাটা বর,
অভিশাপে সাপাতিয়া ভাঙ্গে বাসর ঘর।
সর্প রানী নিপাত যায় রানীগঞ্জ নাম,
সাগর দিঘী কমলা মরে-হায়রে পদ্ম স্বাম!
মই সায়রে কাট সাঁতার দূর্বা দিঘী স্নান,
নলু হাওরে গা ভাসিয়ে শীতল কর প্রাণ।
কত রূপ ধরে আছ ওগো রূপের পরী,
দেখলে তোমায় প্রান জুড়ায়-আহা মরি মরি।
ঘুমিয়ে আছ রাজকুমারী জয় বিজয়ের ঘরে,
সেজে বস আবার তুমি দেখি নয়ন ভরে।

লেখক-মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র।

Saturday, February 7, 2015

‘চাওয়া পাওয়া’

বজলুর রশীদ চৌধূরী

উদাস মনে চলছি আমি পাওয়ার হিসাব কষি,
ফলাফল খতিয়ে দেখি চাওয়ার উপর বসি।
যত চাই তত পাই-শেষ হয়না পাওয়া,
পাওয়া কি আর হয় শেষ, শেষ না হলে চাওয়া?
অঙ্গভরা যৌবন পেয়ে সাজি প্রেমের বর,
স্ত্রী-পুত্র পেয়ে বাঁধি সুখী সুন্দর ঘর।
বংশ গৌরব পেয়ে করি কুলের অহংকার,
নিজকে নিজে ভাবতে থাকি সমাজ সেরা সরকার।
বিদ্যা শিক্ষা পেয়ে হই মস্ত বড় সাহেব,
হাতল চেয়ারে বসি চালি-শত শত নায়েব।
ধন রত্ন পেয়ে গড়ি মনোহরী বাড়ী,
দিবা নিশি চলতে থাকে নিজের খবরদারী।
মাসে মাসে ব্যবসা থেকে যত লাভ আসে,
বার্ষিক হিসাব কষে পাই-ব্যবসা লাভে ভাসে।
আরো চাই আরো চাই-বাড়াও যত পার,
পাওয়ার নিশায় বিভোর আমি-পাইতে চাই আরো।
ঘটা করে ছেলে-মেয়ের দিলাম বিয়ে শাদী,
দিনে দিনে হিসাব পাই-আমিই তাদের বাদী।
চোখের জ্যোতি কমে গেছে-দেহে বল নাই,
লাঠির উপর ভর দিয়ে-শেষের হিসাব মিলাই।

লেখক-মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র।

Thursday, January 1, 2015

পথিক

- বজলুর রশীদ চৌধূরী
মনের ব্যথা বয়ে চলছি, আমি পথিক ভাই,
যেতে যেতে যাচ্ছি আমি থামার সময় নাই।
অকুলেতে ভাসছি আমি কিনার বহুদূর,
নির্মল আলো ঢেকে রাখছে কাল মেঘের ঘোর।
জীবন গতে কত কি যে  বিলীন হয়ে গেল,
তারও একটি নূতন করে ফিরে কি আর এলো ?
পথের মাঝে ঘুরছি আমি ভাবছি বারংবার,
মনের কথা কইব কোথা, সবই অন্ধকার।
কোথা থেকে এলাম আমি, আবার কোথায় যাবো !
দিন হারানোর মাসূল কি আর ঢোল বাজিয়ে পাবো ?
পথে পথে ঘুরছি আমি পথের দেখা নাই,
কত গিরী দিলাম পাড়ি, হিসাব কোথায় পাই।
দেখতে দেখতে কত গেল, দেখার নিমিষে,
আরো কত দেখার আছে হিসাব দিব কিসে ?
দিনের পর রাত আসে, রাতের পর দিন,
চলার গাড়ী অচল হলে বাজবে মরণ বীণ।
বাল্য গেল কৈশোর গেল যৌবন ছিল সার,
বৃদ্ধতে পৌঁছে দেখি সবই নিরাকার।
আসুন আশিক সবাই মিলে সোজা পথ ধরি,
মোহ-মায়া ত্যাগ করিয়া খোদার প্রেমে মরি।
এই পথ ধরে ছুটছে সবাই মূখে নাহি বুলি,
ডিঙ্গী নৌকায় সওদা ভরে তাঁরই কাছে চলি।
কাতর হয়ে নত শীরে ডাকছি ওহে প্রভু,
পথ হারানো পথিক আমি দিদার চাই তবু।
লেখক ঃ মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।

একুশ এবং স্বাধীনতা

- বজলুর রশীদ চৌধূরী
সাতচল্লিশে দ্বিতীয় অধীন, ইংরেজ গেল ছাড়ি,
দেশ হল পাকিস্তান, উর্দু শাসন জারি।
বাংলাভাষা ছেড়ে দাও, উর্দু হবে মূল,
ফরমান বলে শাসক গোষ্ঠি বাড়ায় গন্ডগোল।
বীর বাঙ্গালী রেগে বলে একি সম্ভব হয়!
মূখের ভাষা কাইরা নিবে তাও কি প্রানে সয় ?
মায়ের ভাষা হরণ করে সাধ্য আছে কার !
যেমন করে হউক না কেন করবো প্রতিকার।
অত্যাচারে কত মানুষ ছাড়ে ভিটা মাটি,
ডাকঘরে যায়না পাওয়া বাংলায় লেখা চিঠি।
প্রতিবাদে ফেটে পড়ে সারাদেশের মানুষ,
জাতির মুখ বন্ধ হবে,-কি করিলাম দুষ ?
এই ভাবেতে দিন-মাস-বছর কয়টা গেল,
ধীরে ধীরে বাঙ্গাঁলীরা শক্তি কিছু পেল।
বায়ান্নতে সংগ্রাম হল মুখের ভাষার লাগি,
অনেক ভাই শহীদ হল, ভাষা রইল জাগি।
সত্তুরেতে ভোট দিলাম অনেক আশা করে,
আশার বদল যুদ্ধ হল, রক্ত গেল ঝরে।
ছেলে হারা মায়ের কান্না ,পূত্র হারা বাবা,
বাড়ীঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে, সবাই যেন হাবা।
বীর বাঙ্গালী যুদ্ধ করে মাত্র নয় মাস,
চারিদিকে আওয়াজ উঠে সাবাস মুক্তি সাবাস,
পাক্ সেনারা কোন্ঠাসা,-যাবার নাই রাস্তা
সঙ্গেঁ যাহা রসদ ছিল, সবই গেছে খাস্তা।
সাদা নিশান উড়িয়ে বলে,- আমরা পাকিস্তানী,
মাফি চাই, সত্য বলছি ,করছি নাফরমানী।
লক্ষ সিপাই,- অস্ত্র ঢালে মুক্তি সেনার কাছে,
এত বড় লজ্জা কি আর এই দুনিয়ায় আছে ?
বিজয় মালা পরিয়ে দেয় মুক্তি সেনার গলে,
এই কথাটি লিখা আছে ডিসেম্বরের ষোলে।
র্স্বনাক্ষরে লিখা থাকবে সাল একাত্তুর,
অধীনের দিন শেষ হল,- সাঙ্গঁ ভয়াল সুর।
জন্মভূমি স্বাধীন তুমি,তুমি আমার ঠাঁই,
তোমার বুকে মাথা রাখি মনের গান গাঁই।
এত সুন্দর দেশটাকে আসুন ভালবাসি,
হানাহানি-মারামারি ভুলি রেষারেষি।
স্বাধীন আছি-ভাষা রাখছি ত্রিশ লাখ মরার পর,
স্বাধীনতা রক্ষা করতে কিসের এত ডর।
বর্গী গেল, ইংরেজ গেল, বিদায় পাকিস্তান,
মগের মুল্লুক মুছে গেল,- রইল দেশের মান।
আরুক আলী, মারুক আলী , যত পারে মারুক,
এক মিছিলে সবাই বলি দেশ দরদী আসুক।
ধ্বংস হউক, নিপাত যাক্, অত্যাচারীর দল’
স্বাধীনতা রক্ষা করতে চলরে ওভাই চল্।

লেখক ঃ মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।