Saturday, March 14, 2015

'জেনারেল ওসমানী'

বজলুর রশীদ চৌধূরী
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি-হে বঙ্গবীর,
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক-মুক্তি বাহিনীর পীর।
ক্ষণজন্মা পুরুষ তুমি-সমর বিশ্বে দাম,
যেমন তোমার বংশ সনদ-অসমানী নাম।
সময় পোষাক পরে তুমি কাটাও সারা জীবন,
চাওয়া পাওয়া নাইকো কেবল-সেবাই তোমার পন।
জীবন বাজি রেখে তুমি যুদ্ধে দিলে মন,
জনম জনম বাংলার মানুষ করবে তোমায় স্মরণ।
শত বাধা ডিংগিয়ে তুমি বাড়াও জাতির মান,
ই.পি.আর এর বিশালতা-তোমার হাতের দান।
অবসরে গেলেও তোমার শেষ হয়নি কাজ,
দেশের তরে নির্বাচনে পরলে বিজয় তাজ।
লেখাপড়া নিয়ম কানুনে তোমার জুড়ী নাই,
দেশকে স্বাধীন করে পেলে ইতিহাসে ঠাঁই।
সত্যের ধারক সত্যের বাহক সত্য তোমার পুঁজি,
বিশ্ব সম্মান পেলে তুমি সত্যের ভিতর খুঁজি।
একাত্তরে বাংলার বুকে নামে অন্ধকার,
নির্বিচারে মানুষ মারে পাক্‌ হানাদার।
বঙ্গবন্ধুর প্রিয়ভাজন মেজর জিয়ার গুরু,
সর্বাধিনায়কের পদে বসে যুদ্ধ করলে শুরু।
নয় মাস ধরে যুদ্ধ করে বিজয় নিলে হাতে,
হানাদাররা চলে গেল ইতিহাসের পাতে।
স্বাধীন থেকো স্বাধীনতা-চিরকাল ধরি,
সাথে সাথে আতাউল গনি ওসমানীকে স্মরি।

লেখক-মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র।

Saturday, March 7, 2015

'জলকন্যা জগন্নাথপুর'

- বজলুর রশীদ চৌধূরী
ঘুমিয়ে আছ জল কন্যা জগন্নাথপুর থানা,
রাজ্য পাটে নাম তোমার সবার আছে জানা।
রূপ সাগরের রানী তুমি রূপের অহংকার,
তোমার কোলে কত রত্ন তোমার অলংকার।
জল বিহার কর তুমি-জলে জলে ভাসি,
কানে কানে প্রেমের কথা কও হাসি হাসি।
এলো কেশে বর্ষায় ভেসে টেউয়ের তালে তালে,
সারা অংগ দুলিয়ে বেড়াও-গাঁয়ের খালে নালে।
হাওর নদী দিঘী নালা পেরিয়ে অনেক দুর,
চোখে নাহি মিলে ঠাঁই-রাজ্য জগন্নাথপুর।
ইতিহাসের পাতাধরে কত ভ্রমনকারী,
রূপ সাগরে গা ভাসাতে আসে তোমার বাড়ী।
জলে হাস জলে ভাস ওগো জলের পরী,
ভরা বর্ষায় কত রূপ অংগে রাখ ধরি।
হলুদ বরন গা ভাসে কৃষ্ণ বরণ জলে,
থরে থরে প্রেমের মালা পর তোমার গলে।
হিজল বরুণ কেয়া কেতকী সাজায় জলের আসর,
কদম ফুলের মালায় সাজে তোমার বিয়ের বাসর।
জলে ভাষা আষাঢ় মাস-খেলায় মাতে জল,
নীল হাওরের গহীন বুকে নামে রূপের ঢল।
বাদল ঘেরা ঘুট বরিষায় রংধনু ভাসে,
গুড়ী গুড়ী বৃষ্টির ফাঁকে জল কুমারী হাসে,
রং বেরংগের কত নাও সারিগান ধরে,
মিলন মেলায় মেতে উঠে তোমার বুকের পরে।
কত কবি কত বাউল তোমার গান গায়,
কত রাজার বিরহ ব্যথা চোখের জল ঝরায়।
তোমার তরে কত রাজা জীবন দিল ঢালি,
কত রাজা স্বদল বলে রাজ্য গেল চালি।
চঙ্গ টিলায় সাজে কনে জামাই কাটা বর,
অভিশাপে সাপাতিয়া ভাঙ্গে বাসর ঘর।
সর্প রানী নিপাত যায় রানীগঞ্জ নাম,
সাগর দিঘী কমলা মরে-হায়রে পদ্ম স্বাম!
মই সায়রে কাট সাঁতার দূর্বা দিঘী স্নান,
নলু হাওরে গা ভাসিয়ে শীতল কর প্রাণ।
কত রূপ ধরে আছ ওগো রূপের পরী,
দেখলে তোমায় প্রান জুড়ায়-আহা মরি মরি।
ঘুমিয়ে আছ রাজকুমারী জয় বিজয়ের ঘরে,
সেজে বস আবার তুমি দেখি নয়ন ভরে।

লেখক-মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র।